নিরাপদ পানি সরবরাহের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের দায়িত্ব অর্পণ করে ১৯২৪ সালে ডিপিএইচই (বেঙ্গল) হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) এ রূপান্তরিত হয়। ১৯৪৫ সালে এর সাথে যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদানের দায়িত্ব। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। বর্তমানে ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন এর আওতাধীন এলাকা ব্যতীত সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা নির্মাণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যস্ত। জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। জনগণের নিকট নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরে সরকার প্রথমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুনর্বাসনের গুরুত্ব আরোপ এবং তৎপরবর্তীতে নতুন অবকাঠামো স্থাপন শুরু করে ডিপিএইচই’র মাধ্যমে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। পল্লী এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস (টিউবওয়েল) ও স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব। তাছাড়া অত্র অধিদপ্তর পল্লী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তোর রক্ষণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে WATSAN কমিটির মাধ্যমে কারিগরি সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে।
নগরায়নের ফলে পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদা পুরণে অত্র দপ্তর পৌরসভা সমূহে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মাণসহ কারিগরি সহায়তার আওতায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করছে। পৌরসভা সমূহে ড্রেনেজ, ফিকাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট ও সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট ভিত্তিক কাজ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর করে যাচ্ছে। এছাড়া বন্যা , সাইক্লোন, মহামারী, উদ্বাস্ত সমস্যা ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট জরুরী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস